Breaking News

মোটা হওয়ার টিপস - মোটা এবার হবেনই


পৃথিবী জুড়ে যেখানে স্বাস্থ্য
কমানোর ধুম, সেখানে মোটা হওয়ার
টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই?
আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্তু
খুশিই হবেন। কেননা ওজন বাড়াবার
টিপসগুলো তার জন্য এক রকম স্বস্তির
নিঃশ্বাস বয়ে আনবে৷
শারীরিকভাবে ক্ষীণকায়
ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই
শোনা যায়
কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এত
খাই কিন্তু মোটা হই না কেন।
হতাশার এই মুহূর্ত
থেকে মুক্তি দিতে তাদের জন্য
দেয়া হলো ১০টি টিপস। যা আপনার
ওজন বাড়াতে সহায়ক…
১. ঘুম থেকে উঠে বাদাম ও কিসমিস
খান
ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর
কিসমিসের বিকল্প নেই।
রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপ
কাঠ বাদাম ও কিসমিস
ভিজিয়ে রাখুন
৷সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।
২. প্রচুর শাক সবজি ও ফল খান
ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য
খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও
কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল
আর সবজি। এমন অনেক ফল আর
সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ
ক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু,
কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া,
মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল
ওসবজি খেলে ওজন বাড়বে। যদি এইসব
না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়,
তাহলে অবশ্যই একজন
ভালো ডাক্তারের
সাথে যোগাযোগ করুন।
কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার
ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের
অধিকারী হতে পারেন।
৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ান
খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই
একগাদা খেয়ে ফেলা নয়।
আপনি যদি কম খাওয়ার
কারণে রোগা হয়ে থাকেন,
তাহলে খাবারের পরিমাণ
আপনাকে বাড়াতেই হবে।
স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন,
তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার
বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।
৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন
অনেকেই ভাবেন যে বারবার
খেলে বুঝি ওজন বাড়বে।
এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম
মেনে পেট পুরে খান। পেট
পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার
কমে
যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির
অনেকটাই বাড়তি ওজন
হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প
করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম
বাড়িয়ে দেয়, ফলেওজন কমে।
৫. খাদ্য তালিকায় রাখুন
ডুবো তেলে ভাজা খাবার
ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর
পরিমাণে ফ্যাট থাকে।
ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক।
তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক
সবজির স্যালাড।
৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন
ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন
কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন?
কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল
মোটা হলেই হবে না।
সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত
শরীর।
আপনি জিমে যাবেন
পেশী তৈরি করতে,
এবং পুরুষেরা ওজন
বাড়াতে চাইলে এই
জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক।
পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক
বেশী তো বটেই
৭. ‘মাড়যুক্ত’ ভাত খান
অধিকাংশ মানুষই ভাতের মাড়
ফেলে দেয়৷ মাড়
ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের
অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সঙ্গে।
ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের মড়
না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ
উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ
চালের মাড় ভাত মজাও
লাগবে খেতে।
৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খান
ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ
কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার
আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন।
ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন
দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু
মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।
৯. কমান মেটাবলিজম হার
মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির
মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন
স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ
মেটাবলিজম হার।
সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই
এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে।
তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন,
সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার
শরীরে জমার সুযোগ পাবে।
মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য
প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময়
বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১
ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।

১০. খাদ্য তালিকায় বিশেষ খাবার
আপনার নিয়মিত খাবারের
পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ
ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ
করতে হবে খাদ্য তালিকায়,
নাহলে ওজন বাড়বে কেন?উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে
এই খাবার গুলো খেতে পারেন
অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম,
চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির
মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয়
খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।
এরপরেও যদি ওজন
না বাড়ে তাহলে চিকিৎকের
সাহায্যে শরীর
পরীক্ষা করে যদি কোনো রোগ
পাওয়া যায়, তার
চিকিত্সা করাতে হবে। পেটের অসুখ,
কৃমি, আমাশয় অথবা
কোনো সংক্রামক রোগ
থাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেও
ওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত
ক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজন
কমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম,
নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিক
অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে।

No comments